Thursday, April 14, 2011

পুঁজিবাজারে অস্থিরতা 'কেবল সেনা শাসনেই তাদের বিচার সম্ভব'



বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ঢাকা, এপ্রিল ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পুঁজি বাজারে অস্থিরতার কারণ তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মনে করেন, গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি সময়ে শেয়ার বাজার ফুলে ফেঁপে ওঠার পর ব্যাপক দরপতনের পেছনে যারা দায়ী, কেবল সেনা শাসনেই (মার্শাল ল') তাদের বিচার সম্ভব।

কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বাধীন চার সদ্যসের ওই তদন্ত কমিটি গত ৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে যে প্রতিবেদনটি জমা দেন তা তৈরি হয়েছে মূলত শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে।

বৃহস্পতিবার টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "যদি মনে করেন যে, ধরে ধরে শাস্তি দিলে হবে। ধরে শাস্তি দেওয়া তো এতো সোজা না। আদালত আছে। আদালত তো সব সময় আসামির পক্ষে। কোর্ট কখনো নালিশকারীর পক্ষে থাকে না। '৯৬ সালে তো মামলা হয়েছিলো। একটারও তো জাজমেন্ট হয়নি।"

তার মতে, এ ধরনের অপরাধের বিচার সেনা শাসনের সময়ই দ্রুত সম্ভব হয়।

"এটা মার্শাল ল' তে হয়। ধরে এনে, বিচার করে শাস্তি দেওয়া যায়। এটা তো ডেমোক্রেসিতে হয় না।"

সরকারের ভেতর ও বাইরে থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি অনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার দাবি উঠলেও সরকার এখনো তা করেনি। তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ওই প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছে এবং তা ওয়েবসাইটে 'প্রকাশ' করা হয়েছে।

ওই অপ্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন পক্ষ থেকে সমালোচনা এসেছে- পুঁজি বাজারে অস্থিরতার আসল কারণ এবং এর জন্য দায়ী আসল ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে তদন্ত কমিটি।

ওই প্রতিবেদনে পুঁজি বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এরইমধ্যে এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

পুঁজিবাজার তদন্ত নিয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রশ্নবিদ্ধ ও হতাশাব্যঞ্জক। এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ৩৩ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর কাছেও তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।"

পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও গভর্নর আতিয়ার রহমানের অপসারণও দাবি করেন খসরু।

অবশ্য অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। তবে পুঁজিবাজারে অস্থিরতার সময়ে কোনো ক্ষেত্রে 'ক্রিমিনাল অফেন্স' রয়েছে কি না- তা দেখার জন্য আরো তদন্ত করার বিষয়ে একমত হয়েছেন তিনি। 

No comments:

Post a Comment